চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং।
মঙ্গলবার দেশটির এক বার্ষিক ধনী তালিকায় দেখা গেছে, ইয়িমিং-এর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ এখন চার হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২১ সালে বাইটড্যান্সের নির্বাহী প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ৪১ বছর বয়সী ঝ্যাং। ২৬ বছর আগে প্রথম প্রকাশিত ‘হুরুন চায়না রিচ লিস্ট’-এর ১৮তম একক ব্যক্তি হিসেবে চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব পেলেন তিনি।
এ তালিকায় তিনি চীনা উদ্যোক্তা ঝং শানশানের জায়গা নিয়েছেন, যার সম্পদ ২৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭৯০ কোটি ডলার।
হুরুন বলেছে, নিজেদের মার্কিন ব্যবসার মালিকানা নিয়ে আইনি লড়াই চললেও গত বছর গোটা বিশ্বে বাইটড্যান্সের আয় ৩০ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ১১ হাজার কোটি ডলারে, যার ফলে ঝ্যাং-এর ব্যক্তিগত সম্পদও বেড়েছে।
এ তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন, টেনসেন্টের ‘লো-প্রোফাইল’ প্রতিষ্ঠাতা পনি মা। গত বছর এ অবস্থানে ‘পিডিডি হোল্ডিংস’-এর প্রতিষ্ঠাতা কলিন হুয়াং থাকলেও এখন তিনি নেমে গেছেন চতুর্থ স্থানে। তবে, তার কোম্পানির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘পিন্ডুওডুও’ ও ‘টেমু’ ঠিকই আর্থিক অগ্রগতি দেখিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
এ তালিকার বিলিয়নেয়ার সংখ্যাও ১৪২ জন কমে এসে ঠেকেছে ৭৫৩ জনে, যা ২০২১ সালের সর্বোচ্চ সংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও কম।
“চীনের অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারে দূর্বল এক বছর ছিল এটা,” বলেছেন হুরুন রিপোর্টের চেয়ারম্যান রুপার্ট হুগওয়ার্ফ।
তিনি আরও যোগ করেন, নিজেদের সম্পদের সবচেয়ে নাটকীয় পতন দেখেছে চীনের রিয়েল এস্টেট খাত, যেখানে ইলেকট্রনিক খাত নিশ্চিতভাবেই উর্ধ্বমূখী। এমনকি এই বছর শাওমি’র প্রতিষ্ঠাতা লেই জুনের নিজস্ব সম্পদে যোগ হয়েছে পাঁচশ কোটি ডলার।
“সৌর প্যানেল, লিথিয়াম ব্যাটারি ও ইভি নির্মাতাদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং এক বছর ছিল। এর পেছনে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও ভূমিকা রেখেছে, যার ফলে শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তা দেখা গেছে,” বলেন হুগওয়ার্ফ, যিনি এ তালিকার প্রধান গবেষকও।
“২০২১ সালে নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্যের চেয়ে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পদ কমতে দেখেছে সৌর প্যানেল নির্মাতারা, যেখানে ব্যাটারি ও ইভি নির্মাতাদের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে অর্ধেক ও এক চতুর্থাংশ।”