ভারত সরকার স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, এই স্পেকট্রাম নিলামের মাধ্যমে নয়, প্রশাসনিক পদ্ধতিতে বরাদ্দ করা হবে।
কেন প্রশাসনিক পদ্ধতি?
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম সাধারণত প্রশাসনিক পদ্ধতিতে বরাদ্দ করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে স্পেকট্রামের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
ট্রাই নির্ধারণ করবে দাম:
যদিও প্রশাসনিক পদ্ধতিতে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হবে, তবে এর জন্য কোনো খরচ করতে হবে না, এমন নয়। স্পেকট্রামের দাম এবং বরাদ্দ করার পদ্ধতি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) নির্ধারণ করবে।
বিভিন্ন পক্ষের মত:
ইলন মাস্ক: স্টারলিঙ্কের প্রধান ইলন মাস্ক এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তিনি মনে করেন, স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম নিলাম করা ‘অভূতপূর্ব’ হবে।
মুকেশ আম্বানি: রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি স্পেকট্রাম নিলামের পক্ষে। তিনি মনে করেন, নিলামের মাধ্যমে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যাবে।
রিলায়েন্সের বক্তব্য, অসম প্রতিযোগিতা যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই স্পেকট্রামের নিলাম জরুরি। কারণ, বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা স্যাটকমের স্পেকট্রাম পেয়ে ভয়েস ও ডেটা পরিষেবা দিতে পারে এবং তাতে ভারতের টেলিকম অপারেটাররা কড়া ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
এয়ারটেল: এয়ারটেলও প্রশাসনিক বরাদ্দের পক্ষে।
কেন এই বিতর্ক?
স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম একটি সীমিত সম্পদ। এই স্পেকট্রাম কীভাবে বরাদ্দ করা হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। একদিকে রয়েছে সরকারের সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে রয়েছে বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির দাবি।
ভবিষ্যতে কী হবে?
আগামী দিনে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতে আরও জনপ্রিয় হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের বাজার আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দূরবর্তী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ সহজ হবে।
এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব:
এই সিদ্ধান্ত ভারতের টেলিকম খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ভারতকে গ্লোবাল স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাজারে একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।