কখন কার সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক হয়ে ওঠে তা বলা মুশকিল। তারপরও কখনো পথে চলতে-ফিরতে, একসঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে কিংবা একসঙ্গে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কাউকে ভালো লেগে যায় আমাদের। এক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেরা জুনিয়র এবং মেয়েরা সিনিয়র ছেলেদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান। তবে আমরা সবাই সমবয়সী কাউকে ভালো লাগলে বিষয়টি খুবই সাবধানতার সঙ্গে এড়িয়ে চলি।
অনেকে সমবয়সীর প্রেমে পড়ে লজ্জায় পড়েন বা তা প্রকাশ করেন না। সমাজ ব্যবস্থা কিংবা পরিবারের জন্য এমনটা হয়ে থাকে। যে কারণে মন থেকে সমবয়সী কাউকে ভালো লাগার পরও সম্পর্কে জড়াতে চাই না। অথচ সমবয়সী সম্পর্কেই দাম্পত্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখ ও শান্তি। রয়েছে অনেক সুবিধাও। এবার তাহলে সমবয়সীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো-
শাসন নেই : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ছোট ছোট বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে। কখনো কখনো স্ত্রীর দোষ না থাকার পরও তাকে নীরবে কথা শুনতে হয়। সমবয়সী স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা হয় না। এখানে স্বামী যেমন স্ত্রীকে কথা বলতে পারে আবার স্ত্রী-ও তার স্বামীকে ভালো-মন্দ নিয়ে কথা বলতে পারে। একজনের উপর আরেকজনের কর্তৃত্ব রাখার সুযোগ থাকে না। এ থেকে সহজেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অশান্তিও থাকে না। একসঙ্গে দু’জনের পথ চলা, নতুন কিছু শেখা আবার একসঙ্গেই ভুলগুলো শুধরে নেয়া।
সহজেই সিদ্ধান্ত : স্বামী-স্ত্রী সমবয়সী হলে খুব সহজেই একজন অপরজনের সমস্যা বুঝতে পারেন। সঠিক-ভুলের বিষয় নিয়ে ঝগড়া কিংবা কথা কাটাকাটি করতে হয় না তাদের। আবার কেউ কারও উপর জোর করতে পারে না এবং দোষও চাপাতে পারে না। সমবয়সী হওয়ায় একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সময় কাটাতে হয় দু’জনের।
একসঙ্গে কাজ : বাড়ির কোনো কাজ নিয়ে হয়রানি হতে হয় না। দু’জন একসঙ্গে হাসি-আনন্দে কাজ করতে পারেন এবং ভাগাভাগিও করে নিতে পারেন। অফিস সময় ছাড়া কিংবা ছুটির দিনে একজন আরেকজনকে সহজভাবেই কাজে সহায়তার মানসিকতা পেয়ে থাকেন।
দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসা : যখন বয়সের মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকে না তখন দু’জনের মধ্যেই ভালোবাসা ও মান-অভিমান সমানভাবে বিরাজ করে। একে অপরের ভালো-মন্দ এবং ঠিক-ভুল বুঝতে পারায় সবসময় পাশে থাকতে পারেন।