সরষের মধ্যেই ভূত! পরীক্ষা নিয়ামকের সই জাল করে কো-অপারেটিভ থেকে ঋণ?

বিশ্বাসঘাতকতা! বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের নামে জাল সই করে ঋণ নেওয়া হয়েছে। বিপ্লব চক্রবর্তী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্টিস্টও, তাঁর অজান্তেই স্টাফ কো-অপারেটিভ থেকে ৬০ হাজার টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে।

আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগেই ভাউচার তৈরি করা হয়েছিল এবং বেয়ারার চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স ডিপার্টমেন্টের এক কর্মী প্রলয় ঘোষের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় আঙুল উঠছে। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।

বেয়ারার চেকে ফের জাল সই করে ক্যাম্পাসে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ৫৮ হাজার টাকা তুলেও নেওয়া হয়। অথচ তা জানতেই পারেননি বিপ্লব চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমি কো-অপারেটিভ থেকে ঋণের জন্য কোনও আবেদন করিনি। অথচ আমার নামে ঋণের আবেদন করে আমার অজান্তেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পরে কর্তৃপক্ষকে জানাই। পুলিশেও এফআইআর করেছি। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই গুরুতর এবং তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।