“টাকা না দিলে পেনশন হবে না”-ডিএম অফিস চত্বরে শ্রম দপ্তরের অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা

তমলুকের কিসমত পুতপুতিয়ার বাসিন্দা সুশান্ত বেরা শ্রমিকের পেনশন পেতে চেয়ে জেলাশাসকের দফতরে যোগাযোগ করেন। সেখানে এক যুবক তাঁকে শ্রম দপ্তরের যুগ্ম কমিশনারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পেনশন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। বিশ্বাস করে সুশান্ত তিন দফায় ৪১,৬০০ টাকা দেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।

এই ঘটনায় যুগ্ম শ্রম কমিশনার অনিন্দিতা ভট্টাচার্য তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের নাম অরূপ মান্না বলে জানা গেছে। জেলাশাসক তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করান এবং অভিযোগ সত্য বলে নিশ্চিত হন।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে যে অভিযুক্ত যুবক সিটু সমর্থক। তবে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

প্রতারিত সুশান্ত বেরা বলেন, ‘ওরা বলেছিল, টাকা না দিলে পেনশন হবে না। সেই ভয়ে ওদের দাবি মতো টাকা দিয়েছিলাম। ওরা নিজেদের শ্রম দপ্তরের কর্মী ও অফিসার পরিচয় দিয়ে দফায় দফায় টাকা নিলেও পেনশন না হওয়ায় বুঝতে পারি, প্রতারিত হয়েছি। এরপর জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযোগ জানাই।’

এ নিয়ে যুগ্ম শ্রম কমিশনার বলেন, ‘অভিযুক্তরা কেউ শ্রম দপ্তরের স্টাফ নয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’