ওয়াকফ বিল স্ক্রুটিনির দাবি, আজ লোকসভায় করা হবে সংশোধন বিল পেশ

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধন বিল নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলি এর তীব্র বিরোধিতা করছে।

বিলে কী কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে?

নাম পরিবর্তন: ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নাম পরিবর্তন করে নতুন একটি আইন আনা হচ্ছে।

সদস্য সংযোজন: ওয়াকফ বোর্ডে মহিলা এবং অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

জেলাশাসকের ক্ষমতা বৃদ্ধি: জেলাশাসককে ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মীমাংসার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।

ওয়াকফ সম্পত্তির কেন্দ্রীয়করণ: ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত হবে।

কেন বিরোধিতা?

‘ওয়াকফ বাই ইউজ’ ধারণার অবলুপ্তি: অনেক মুসলিম পরিবার প্রজন্ম ধরে কোনো সম্পত্তি ব্যবহার করে আসলেও লিখিত দলিল না থাকায় সেই সম্পত্তি ওয়াকফ হিসাবে স্বীকৃত নাও হতে পারে।

জেলাশাসকের অধিকার: মুসলিম সংগঠনগুলি মনে করছে, জেলাশাসকদের এত বেশি ক্ষমতা দেওয়া ওয়াকফ সম্পত্তির নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।

প্রতিনিধিত্ব নিয়ে উদ্বেগ: মুসলিম সংগঠনগুলি মনে করছে, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা ওয়াকফের স্বায়ত্তশাসনকে হুমকি দেবে।

বিরোধী দলগুলির দাবি:

বিরোধী দলগুলি এই বিলকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, এই বিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এবং বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

সরকারের দাবি:

সরকারের দাবি, এই বিল ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নের জন্য। সরকার মনে করে, এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং এগুলির অপব্যবহার রোধ করা যাবে।

ওয়াকফ সংশোধন বিল নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ এই বিলের বিরোধিতা করছে। সরকার এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। দেখা যাক, এই বিতর্কের পরিণতি কী হয়।