সচল হয়েছে রাস্তাঘাট, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় রাত জাগল অনেকেই, কী পরিস্থিতি বাংলাদেশে?

মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টার বেশি কোনো সরকার ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার অনেক ছবি রয়েছে। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙার দৃশ্য অনেকের মনে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘আর টিভি’র খবরে বলা হয়েছে, বুধবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি? মঙ্গলবারের তুলনায় যানজট বেড়েছে। সকাল থেকে গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রাস্তায় যারা আছেন তাদের চোখে আতঙ্ক স্পষ্ট। কেউ কেউ গণপরিবহন পরিষেবা এড়িয়ে রিকশা, সিএনজি করে গন্তব্যে পৌঁছান। একই দিনে ঢাকায় দোকানও খুলেছে। এছাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোতেও ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশের একটি এনজিওর কর্মী রাজীব আহমেদ ‘আর টিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রাস্তায় পর্যাপ্ত গণপরিবহন রয়েছে।
সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে সুবিধা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বরং শিক্ষার্থীদের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মঙ্গলবার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন খালেদার ছেলে ও বিএনপির কার্যকরী সভাপতি তারেক রহমান। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্বাচিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্যারিসে রয়েছেন। বুধবার তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারেন।
এদিন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা ঘোষণা হতে পারে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম ফরিদপুরে রামকৃষ্ণ মিশনে পাহারা দিতে দেখা গেছে স্থানীয় লোকজনকে। কুমিল্লার কান্দিরপাড়ায়ও দেখা গেছে সম্প্রীতির চিত্র। সংখ্যালঘুদের রক্ষায় অনেককে লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।