মুক্তির ২ ঘণ্টার মধ্যেই হাতে মিললো পাসপোর্ট, বাংলাদেশে গুরুত্ব বাড়ছে খালেদা জিয়ার?

মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার তার মুক্তির ঘোষণা দেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। আর তখনই প্রকাশ্যে আসে যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে আর্থিক আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়া কারাগারে যান মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে। জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই ২০২০ সাল থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে শর্তসাপেক্ষে বন্দি ছিলেন।

সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরপরই খালেদা জিয়ার মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সোমবার রাতে খালেদা জিয়াকে পাসপোর্ট দেওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তাকে সাধারণ নাগরিকদের ব্যবহৃত সবুজ পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের সব প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়। খালেদা জিয়া এখনো চিকিৎসাধীন।

তাই নবায়ন করা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) হাসিনার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য বারবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়।

খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের উদ্যোগ 2021 সালের জুন মাসে নেওয়া হয়েছিল। পাসপোর্ট বিভাগ দ্রুত পাসপোর্ট নবায়ন করে। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়াকে পাসপোর্ট না দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এমনকি তার পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এবার পাসপোর্ট বিভাগ চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিয়েছে।