হাসিনা দেশ ছাড়তেই টার্গেট আওয়ামি লিগ, নেতা-পরিবারের সদস্য মিলিয়ে ২০ জনের দেহ উদ্ধার

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশ তোলপাড়। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরও সহিংসতার ধারা থামছে না। এদিকে সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের পরিবারের ওপর হামলা হয়েছে। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকি ১০ জনের মৃত্যু কিভাবে হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংবাদ প্রকাশের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঢাকা ট্রিবিউন দাবি করেছে মৃতের সংখ্যা ২৯, ২০ নয়। বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হাসিনা যখন দেশ ছেড়েছেন, তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে ও তাদের পরিবারের ওপর বেছে বেছে হামলা হয়েছে।

ভাঙচুরের পাশাপাশি তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার সকালে আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় কার্যালয়ও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রশাসন আহত ২১ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে। বেশির ভাগই মারধর বা ভারী অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর প্রতিবাদে সাতক্ষীরা ও শ্যামনগরে আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কুমিল্লায় গণবিক্ষোভে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অশোকতলায় সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহ আলমের তিনতলা বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নাবালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালায়। কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির তৃতীয় তলায় যান। এসময় বাড়ির নিচতলায় আগুন লেগে যায়। যারা জীবন বাঁচাতে তৃতীয় তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন।