বাংলাদেশের সেই হিন্দু গায়কের বাড়ি পুড়ে ছাই, এখনো দিকে দিকে অশান্ত পরিবেশ

বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই নির্যাতন এক নতুন মাত্রা ধারণ করেছে। জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী রাহুল আনন্দ যখন নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হন, তখন এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও উঠে আসে।
ঢাকায় অবস্থিত রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তা ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়। তাঁর অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়। স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি।
১৪০ বছরের পুরনো বাড়ি: রাহুল আনন্দের বাড়িটি ১৪০ বছরের পুরনো। একসময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এই বাড়িতে এসেছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে পড়ে। এই অস্থিরতার মধ্যেই হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকান এবং মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ আমাদের খুব কাছের। জানুয়ারি মাস থেকে সেখানে উত্তেজনা রয়েছে। জুন-জুলাইয়ে হিংসা শুরু হয়। সেখানকার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগায়োগ রেখেছিলাম। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনাকে ইস্তফা দিতে হল। ৪ অগস্ট পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। অধিকাংশ হামলা চালানো হয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর, যা উদ্বেগের।”
জামাত-ই-ইসলামির দায় স্বীকার: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় জামাত-ই-ইসলামি দায় স্বীকার করেছে।