বাংলাদেশের এই অবস্থার পিছনে আসলে কারা দায়ী ? গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরিণতি, অন্তর্নিহিত কারণগুলি সম্পর্কে তীব্র জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে৷ যদিও তাৎক্ষণিক ট্রিগার ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলি আরও জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী চক্রান্তের ইঙ্গিত দেয় ইসলামী ছাত্রশিবির (ICS)।
সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কোটা আন্দোলনকে কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন আইসিএসের বিরুদ্ধে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার অভ্যন্তরে সমর্থকদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সংগঠনটি কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসছে। বিক্ষোভের আকস্মিক বৃদ্ধি এবং তাদের বিস্তৃত প্রকৃতি অনেককে বিশ্বাস করতে পরিচালিত করেছে যে সেখানে একটি পূর্ব-বিদ্যমান পরিকল্পনা ছিল।
সূত্রের খবর, মাত্র ২০ দিনের কোটা বিরোধী আন্দোলনে এত বড় ঘটনা ঘটেনি। কোটা বিরোধী আন্দোলনটি ছিল সলতেতে আগুন মাত্র। এই গোটা ঘটনার প্লট তৈরি হয়েছে ২ বছর আগে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। টানা ২ বছরের রূপরেখা নিয়ে জামাতের প্ল্যান ছিল।
জামাত-ই-ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের শক্তিশালী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গির বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকেই মূলত আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। গত ৩ বছরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যতগুলি ছাত্র সংগঠন জিতেছে, তারা সবাই ইসলামি ছাত্র শিবিরের সমর্থনেই জিতেছে। ছাত্র রাজনীতি ছাড়াও এই ছাত্র সংগঠন মাদ্রাসাগুলিতে নানা কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত।
ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে আরও জানা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো ডিপি দিয়ে ছদ্মবেশে ছাত্রদের এই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছিল ISI এজেন্টরা। ISI-এর ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন ছাত্ররা। যার পরিণতি, আজকের বাংলাদেশ।
যাইহোক, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে আইসিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, সম্পূর্ণ অস্থিরতাকে শুধুমাত্র তাদের প্রচেষ্টার জন্য দায়ী করা একটি অতি সরলীকরণ। অর্থনৈতিক ক্ষোভ, রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং বৃহৎ গোষ্ঠীগুলিকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা সহ কারণগুলির সংমিশ্রণ সম্ভবত এই পরিস্থিতিতে অবদান রেখেছে।