যাতায়াতের রাস্তা কোথায়?-স্পিড বোটই ভরসা প্লাবিত কাটোয়ার অসহায় মানুষদের

কাটোয়া ১ ও ২ ব্লকের বহু এলাকা ব্রহ্মণী ও ফড়ে নদীর জল বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়েছে। শ্রীরামপুর গ্রাম পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের স্পিড বোটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শিমুলগাছির ৩০টি পরিবারকে স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এই নদীগুলির নাব্যতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠে প্লাবনের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর, করজগ্রাম এবং কাটোয়া ২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ, কড়ুই, নতুনগ্রাম এলাকাগুলিতে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
কাটোয়া ২ ব্লকের বিডিও স্পিড বোটে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে শিমুলগাছির বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছেন এবং ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তবে, শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, রবিবার বিকেল পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। কাটোয়ার মহকুমাশাসক অর্চনা পনধরিনাথ ওয়াংখেড়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন যে, ত্রাণ সকল এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা রুম্পা ঘোষ বলেন, ‘আমার বাবা হার্টের রোগী৷ তাঁর দু’বেলা চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু গ্রামের চারদিকে শুধুই জল। আমরা এখন বন্দি। প্রশাসন গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠায়নি৷’
আর এক বাসিন্দা তপন পাল বলেন, ‘বিধায়ক আমাদের চাল, ডাল, মুড়ি পাঠিয়েছেন। কিন্তু ব্লক প্রশাসন আমাদের গ্রামে একবারও আসেনি৷’
গ্রামেরই বাসিন্দা সন্তু মণ্ডল বলেন, ‘রাস্তা, স্কুল সব জলের নীচে। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলেও চিকিৎসার জন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই৷ স্পিড বোটে যেতেও বেশ সময় লেগে যাচ্ছে৷’