ঋণে জর্জরিত, স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে গায়ে আগুন দিলেন ব্যবসায়ী

ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ভিতরে এক ব্যক্তির মরদেহ। কিছু দূরেই অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন এক নারী এবং এক তরুণ। মঙ্গলবার বিকেলে এমন একটি দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন পথচলতি মানুষ। তারাই পুলিশ ও দমকলে খবর দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আগুনে ঝলসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির নাম রামরাজ ভাট, বয়স ৫৮ বছর। যে নারী এবং যুবককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তারা ওই ব্যক্তির স্ত্রী নন্দিতা এবং ছেলে নন্দন। এই দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, রামরাজ একজন ব্যবসায়ী। ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই দেনা মেটাতে না পেরে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিকল্পিত ভাবেই পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রামরাজ। তিনি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা।

দুপুরে একসঙ্গে খাওয়ার জন্য স্ত্রী এবং ছেলেকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন রামরাজ। গাড়িতে করে ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু হোটেলে না গিয়ে মাঝপথেই একটি ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামান তিনি।

স্ত্রী এবং ছেলে তখনও আঁচ করতে পারেনি কেন গাড়ি থামালেন রামরাজ। এরপরই গাড়িতে পেট্রল ঢালতে শুরু করেন তিনি। তারপর নিজের গায়ে এবং স্ত্রী-ছেলের গায়েও পেট্রল ঢালেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িসহ নিজেদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি দাউ দাউ করে জ্বলছিল। তারপরই দুজন আরোহী কোনো রকমে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। গায়ের আগুন নেভান নিজেরাই। গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, রামরাজের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। সেখানে তিনি দেনায় জর্জরিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।