হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দিক থেকে চীন ও রাশিয়া এগিয়ে আছে—এমন উদ্বেগের মধ্যে চলতি সপ্তাহে সফলভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনীর ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডিএআরপিএ) স্থানীয় সময় বুধবার ঘোষণা করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট লকহিড মার্টিন তৈরি করেছে এবং সফলভাবে এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিএআরপিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জের স্থল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটির নাম এয়ার-লঞ্চড র্যাপিড রেসপন্স ওয়েপন (এআরআরডব্লিউ)। মার্কিন বিমানবাহিনী এটি উৎক্ষেপণ করেছে।
গত ২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্র আরও একটি সাধারণ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল, কিন্তু সেটির পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন হয়ে থাকে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার গতিতে বাতাসের ভেতর দিয়ে যেতে পারে। হাইপারসনিক অস্ত্র সাধারণত উড়োজাহাজের ডানার নিচে করে বহন করা হয়।
হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে এই অর্থবছরের জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল ডিএআরপিএ এবং সংস্থাটির জন্য অর্থ অনুমোদন করেছে মার্কিন প্রশাসন।