প্রয়াত তরুণ মজুমদার, ভারাক্রান্ত মনের কথা জানালেন ঋতুপর্ণা

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদারের একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এদিন পরিচালকের মৃত্যুতে ঋতুপর্ণা বলেন ‘মনটা খুবই ভারাক্রান্ত লাগছে। ওনার সঙ্গে কাজের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমার প্রথম সিনেমা করেছিলাম আলো। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি ল্যান্ড মার্ক সিনেমা। এরপর চাঁদের বাড়ি করেছি। উনি বাংলা সিনেমার স্তম্ভ। ওনার অবদানের শেষ নেই। মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে।

প্রসঙ্গত, আজ সোমবার ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। বর্ষীয়ান এই পরিচালকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

তরুণ মজুমদার (জন্ম: ১৯৩১) একজন ভারতীয় বাঙালি চিত্রপরিচালক। তার সংগ্রহে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৯০ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।

উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯) তরুণ মজুমদারের প্রথম পরিচালিত ছবি।তার পরিচালিত প্রথম জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি কাঁচের স্বর্গ (১৯৬২)। এরপরে পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা — এই সব ছবি সমালোচক মহলে বহুল প্রশংসিত হয়। তার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০) বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy