BigNews: অনুব্রতর গড়ে বিশেষ দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই! বীরভূমের রাজনীতিতে ফের শোরগোল

অনুব্রত মণ্ডলকে গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূমের তৃণমূলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। জেলার ২১টি ব্লক সভাপতির মধ্যে ৫ জনকে বদলি করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক। এই ব্লকের সভাপতি করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় নীহার মুখোপাধ্যায়কে।

রদবদলের কারণ:

বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের কারণ হিসেবে দুটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, ২০২২ সালের বগটুইকাণ্ডে তৃণমূলের ৯ জন কর্মী নিহত হয়েছিল। এই ঘটনার পর তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রদবদলের মাধ্যমে দল এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে চায়। দ্বিতীয়ত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল দলের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও জোরদার করার উদ্দেশ্যে এই রদবদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নীহার মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্ব:

নীহার মুখোপাধ্যায়ের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি হওয়াকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ব্লকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এলাকা। গত লোকসভা, একুশের বিধানসভা ও ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। রামপুরহাট ১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় মামাতো বৌদি পম্পা মুখোপাধ্যায় সহ আরও দুই তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থীরা। সেই সময় থেকেই ব্লকের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া:

নীহার মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই রদবদল প্রমাণ করে যে তৃণমূল এখনও পরিবারতন্ত্রের কবলে রয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “নীহার মুখোপাধ্যায় একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তি। তাকে ব্লক সভাপতি করা শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্রের প্রমাণ।”

বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এই রদবদল দলের সাংগঠনিক শক্তিকে কতটা জোরদার করতে পারে, তা ভবিষ্যতেই দেখার বিষয়।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy