আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দির। ওই দিন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম মুখ লালকৃষ্ণ আদবানি বলেছেন, “ভাগ্য ঠিক করে রেখেছিল যে শ্রী রাম মন্দির অবশ্যই অযোধ্যায় তৈরি করে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন রাম মন্দির দেশবাসীকে উৎসর্গ করবেন, তখন তিনি ভারতের প্রতিটি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আমার প্রার্থনা যে এই মন্দিরটি সব ভারতীয়কে শ্রী রামের গুণাবলি গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।”
এদিকে রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না কংগ্রেস। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ অংশ নেবে না বলে জানানো হয়েছে।
কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের জন্য মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে। যদি ওরা রামেই বিশ্বাস করে তাহলে কেন ওরা ৭০ বছর ধরে আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও কলের জলের সংযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছিল? ক্ষমতায় থাকাকালীন ওরা কেমন ভাবে শাসন চালিয়েছে? কংগ্রেসের আমলে হওয়া দুর্নীতিরকাণ্ড ফের প্রকাশ্যে আসবে।”
২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে মীনাক্ষী বলেন, “প্রভু রাম নিজেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেছে নিয়েছিলেন যাতে তিনি ৫০০ বছর পর আবার তাঁর জন্মস্থানে ফিরে যেতে পারেন।”
প্রসঙ্গত মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ২২ জানুয়ারি চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে যাবে নানা আচার-বিধি পালনের অনুষ্ঠান। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে সাত দিন ধরে সেই অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানের জন্য রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ভিআইপিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উদ্বোধনে থাকবেন ১১ হাজার বিশেষ অতিথি।
জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের দিন হলুদ বসনে সাজবেন রামলালা। সেই পীতাম্বর সাজ তৈরি করেছেন শিল্পী ভগবত প্রসাদ। পান্না-হিরে-চুনি বসানো থাকবে হলুদ এই মসলিন কাপড়ে। গুজরাতের সুরাট, দিল্লি ও কানপুর থেকে এসেছে কাপড়। হলুদ রঙকে শুভ মনে করা হয়। সেই কারণেই পীতাম্বর পোশাকে দেখা যাবে রামলালাকে। শুধু রামই নয়, সীতাকেও সাজানো হবে হলুদ রং দিয়ে।
রাম মন্দির উদ্বোধনের চার দিন বাকি। এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে অপেক্ষায় দেশবাসী।