গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর হুগলি জেলার পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী, জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৩টি পঞ্চায়েত একাধিক মাপকাঠিতে অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
প্রতি বছরই রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ, নিজস্ব আয়ের সংস্থান, পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ অর্থ খরচ, টেন্ডার ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা এরকম একাধিক মাপকাঠিতে সমীক্ষা করে দেখা হয়। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, হুগলি জেলার মোট ২০৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৩টি পঞ্চায়েত অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব পঞ্চায়েত অনুত্তীর্ণ হয়েছে, সেগুলির মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি খুবই কম। এছাড়াও, পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি। অনেক পঞ্চায়েতে নিজস্ব আয়ের সংস্থান তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, অনুত্তীর্ণ পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
এদিকে, এই সমীক্ষার ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই ব্যর্থতার জন্য পঞ্চায়েতের বর্তমান বোর্ড দায়ী। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের আগে এই বিষয়টি জনমানসে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।