রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয় নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করতে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মীদের গতিবিধি ট্র্যাক করার জন্য চিপ কার্ড চালু করা, প্রতিটি ফ্লোরে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো, কে কোথায় যাচ্ছে তা রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখা, প্রতিটি অফিসের সামনে পুলিশ প্রহরা বসানো এবং সন্দেহজনক গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ব্যবহার করা।
এই সিদ্ধান্তের ফলে নবান্নের কর্মীদের উপর কড়া নজরদারি থাকবে। কর্মীদের নিজের দপ্তর ছেড়ে অন্য দপ্তরে যেতে হলে চিপ কার্ড ব্যবহার করতে হবে। এক তলা থেকে অন্য তলায় যাওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার মতে, নবান্নে আঁটসাট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও সিএমও অফিস, স্বরাষ্ট্র, অর্থ সহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সরকারি গোপন তথ্য বাইরে পাচার করার পিছনে নবান্নের এক শ্রেণীর কর্মী এবং আধিকারিকদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে যাতে এ নিয়ে সরকারকে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় তার জন্যই প্রতিটি কর্মীকে এখন থেকে ম্যান-মার্কিং করা হবে।
কর্মীদের নিয়মানুবর্তিতা এবং হাজিরা সুনিশ্চিত করতে সম্প্রতি নবান্নের প্রতিটি ফ্লোরে ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু এই ক্যামেরা কর্মীদের মুখ রিড করতে না পারার অভিযোগ রয়েছে। কারও দাঁড়ি, গোঁফ বেড়ে গেলেও ক্যামেরা চিনতে পারছে না। তার জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কর্মীদের।
নতুন ব্যবস্থার ফলে কর্মীদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে সরকারের দাবি, এই ব্যবস্থা নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।