বন্ধুর বাড়িতে বসেছিল মদের আসর। মদ খেয়ে মাতাল হয়ে সেই বন্ধুর স্ত্রীকেই ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন এক যুবক। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দাসপুরে ঘটেছে এ ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে শ্রীমন্ত সাঁতরা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত সুরজিৎ পাত্র পলাতক। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সামাট গ্রামে অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন নারীর প্রতিবেশি ও আত্মীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এলাকায় পৌঁছান ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকালে পুলিশের সঙ্গে বিাদে জড়িয়ে পড়েন তারা।
পুলিশ আরো জানায়, গত ২৩ ডিসেম্বর দাসপুর থানার সামাট গ্রামের বসিন্দা সুরজিৎ পাত্র মদের বোতল নিয়ে রামদাসপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে যায়। সেখানে সুরজিতের সঙ্গে ওই গ্রামেরই শ্রীমন্ত সাঁতরাসহ আরো এক বন্ধু ছিল। তিনজনে মিলে রামদাসপুরে ওই বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে মদের আসর বসায়। তখন রাত সাড়ে ৯টা। যে বন্ধুর বাড়িয়ে বসেছিল আসর, সেই বন্ধু খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বন্ধুর স্ত্রী তখন পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। অভিযোগ, বন্ধু ঘুমোচ্ছে এই সুযোগ নিয়ে, তার স্ত্রীর কাছে চলে যায় সুরজিৎ।
এরপর সুরজিৎ ওই নারীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে জোর করে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বুঝে কোনও ভাবে বাড়ির বাইরে এসে চিৎকার শুরু করেন ওই নারী। চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। তারপর নারীকে উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পাকড়াও করার চেষ্টা করেন পড়শিরা। মূল অভিযুক্ত সুরজিৎ-সহ বাকিরা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার অভিযোগ পেয়েই পুলিশ সুরজিতের সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। তবে সুরজিৎ এখনও পলাতক। তার খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে বুধবারও সে ধরা না পড়ায় এ দিন নারীর প্রতিবেশি ও আত্মীয়েরা সামাট গ্রামে গিয়ে সুরজিতের বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালান। সেই খবর পাওয়ার পরই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে প্রতিরোধ করায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টা দেড়েক পর পুলিশি হস্তক্ষেপে উত্তেজনাস্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিয়ে মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তেরখোঁজ চলছে।’
সূত্র: আনন্দবাজার