ভারতে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণ চিন্তার ভাঁজ তুলেছে কপালে। ভারতের রাজধানীর দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পজিটিভিটি রেট দুই শতাংশের বেশি হয়েছে। ফলে চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে হোম আইসোলেশনের সংখ্যা প্রায় ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে হোম আইসোলেশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৪। নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৫ জনে পৌছে গিয়েছে। এদিকে ওমিক্রনের দুটি স্ট্রেইন বিএ.১ ও বিএ.২-এর সম্মিলিত রূপ হিসেবে উঠে এসেছে এক্সই।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভ্যারিয়্যান্টটি ওমিক্রনের থেকেও ১০ গুণ বেশি সংক্রামক। তাই নতুন করে মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। দিল্লিতে ১ এপ্রিল কোভিড শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল ২ দশমিক ৩৯ শতাংশে পৌঁছেছে। ৮ এপ্রিল দিল্লিতে দৈনিক কোভিড পজিটিভ ছিল ১৪৬ জন৷
যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটা প্যানিক করার মতো অবস্থা নয়৷ তবে এখনই করোনাবিধি না মানলে সমস্যা বাড়বে৷ কারণ শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সে নিয়েই রীতিমতো চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা৷ ভারতের মুম্বাই ও তারপর গুজরাটে এক্সই’র সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে৷
সংক্রমণের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়েভে দেশের সবচেয়ে সঙ্কটপূর্ণ জায়গাগুলোর একটি ছিল দিল্লি। যেখানে চীন, ইংল্যান্ডে নতুন করে করোনা কেস, হোম আইসোলেশন ও মৃত্যু বাড়ছে। সেখানে দিল্লির পরিস্থিতি যাতে নতুন করে খারাপ না হয় তার জন্য আগে থেকেই করোনাবিধি মেনে চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।