৮৫ বছরের এক বৃদ্ধার রান্নায় আঙুল চেটে কুল পাচ্ছেন না ব্রিটেনের সাহেবরা। মঞ্জু নামের ওই বৃদ্ধা জন্মসূত্রে গুজরাতি হলেও দীর্ঘ দিন তিনি ইংল্যান্ডেই আছেন।
বয়স ৮০ ছোঁয়ার পর খোলা তার রেস্তরাঁ মঞ্জু’জ জিতে নিয়েছেন সে দেশের বহু খাদ্যরসিকের মন। দুই ছেলে ও পুত্রবধূ নিয়ে ৮৫ বছর বয়সেও অক্লান্ত ভাবে এই রেস্তরাঁর হেঁসেল সামলাচ্ছেন মঞ্জু।
তবে এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ এক জীবন সংগ্রামের কাহিনি। আদি নিবাস গুজরাত হলেও জন্মের পরই উগান্ডা চলে যান মঞ্জুর বাবা-মা। সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন তারা। কিন্তু মাত্র ১২ বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ হয় তার। সংসার চালাতে মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে টিফিন বানানো শুরু করেন তিনি। উগান্ডাতেই দুই সন্তানের জন্ম। কিন্তু ১৯৭২ সালে আবার শুরু হয় টানাপড়েন। উগান্ডাতে ক্ষমতায় আসেন ইদি আমিন। প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে ইংল্যান্ড যেতে বাধ্য হন মঞ্জু।
ইংল্যান্ডে এসে ইলেকট্রিক কারখানায় কাজ শুরু করেন মঞ্জু। প্রায় ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই কাজ করতেন তিনি। হঠাৎ করেই ২০১৭ সালে এক দিন দুই ছেলে মাকে নিয়ে হাজির হন একটি রেস্তরাঁর সামনে। রেস্তরাঁর নামের ফলকে নিজের নাম দেখে চমকে ওঠেন মঞ্জু। দুই ছেলে জানতেন মায়ের রান্নার শখের কথা। তাই নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে রেস্তরাঁ খুলে ফেলেন।
আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে রেস্তরাঁটি। বর্তমানে দুই পুত্র ও পুত্রবধূর সঙ্গে রেস্তরাঁটি সামলাচ্ছেন মঞ্জু। মেন্যুতে রয়েছে ভেলপুরি, পানিপুরি, পনির মশলা ও খণ্ড ভাজিয়ার মতো লোভনীয় সব পদ।