কাউকে দেখে ভালো লাগছে, অথচ পুরোদস্তুর প্রেম দূরের কথা, ডেটিং হবে কিনা তারও ঠিক নেই, এরকম একটা সময়েই চলে ফ্লার্টিং। ডেটিংয়ে যাওয়ার আগের সময়টাতেও অনেকেই ফ্লার্টিং করেন মন খুলে। যে কোনও সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে সুস্থ ফ্লার্টিংয়ের কিছুটা ভূমিকা থাকে ঠিকই, কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে কিন্তু বিপদ! তাই কারও সঙ্গে খুনসুটি করার আগে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। দেখে নিন কী কী করা চলবে না একেবারেই!
অতিরিক্ত হাসি
পছন্দের মানুষটি মজাদার কোনও জোক শোনালে হাসি পাওয়াটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তা বলে কথায় কথায়, অকারণে হাসবেন না। বিনা কারণে হাসলে আপনাকে নির্বোধ মনে হতে পারে!
অন্য সম্ভাব্য ডেটদের ব্যাপারে কথা নয়
আপনার প্রতি অন্য পুরুষেরা ঠিক কতখানি আকৃষ্ট এটা বলে পছন্দের পুরুষটির মনে ঈর্ষা জাগানোর চেষ্টা করে লাভ নেই! উনি আপনার প্রতি উৎসাহ হারাতে পারেন, আবার আপনাকে বোধহীন ভাবাটাও বিচিত্র নয়!
অতিরিক্ত ফেমিনিস্ট হওয়ার দরকার নেই
মেয়েদের ক্ষমতায়ণ, নারীবাদ, এ সবেরই গুরুত্ব অপরিসীম, কিন্তু এ নিয়ে কথা বলতে বলতে ব্যাপারটা যেন পুরুষ বিদ্বেষের পর্যায়ে না চলে যায়! আপনার পছন্দের পুরুষটি সেটা পছন্দ করবেন না।
স্মার্ট সাজতে গিয়ে মিথ্যে কথা বলবেন না
নিজের ব্যাপারে অতিরিক্ত বাড়িয়ে চড়িয়ে বললে আপনারই অসুবিধে। পরে ধরা পড়ে যাবেন। তা ছাড়া আপনার পুরুষ বন্ধু আপনাকেই পছন্দ করছেন, নাকি আপনার বানিয়ে বলা গুণগুলোকে, সেটাই বা বুঝবেন কী করে?
অতিরিক্ত সেক্সিভাব নয়
ভেবে দেখুন তো আপনার প্রাথমিক উদ্দেশ্যটা কী? নিশ্চিতভাবেই উলটোদিকের মানুষটাকে ভালো করে চেনাজানা, এবং সম্পর্কটাকে দীর্ঘমেয়াদি করার পথে নিয়ে যাওয়া? সে ক্ষেত্রে খামোকা অতিরিক্ত সেক্সিভাব দেখিয়ে লাভ কী? বরং স্বাভাবিক থাকুন, বাকিটাও সহজ থাকবে।