দুপুরের কড়া রোদ। খাঁ খাঁ করছে চারপাশ। এর মধ্যেই সড়কের পাশে একটি স্কুটার রাখা। প্রচণ্ড গরমে রোদের তাপে একজন দোসা (দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় একটি খাবার) বানাচ্ছেন। মজার বিষয়, রান্নার জন্য নেই কোনো হাঁড়ি–চুলা, বরং স্কুটারের আসনের ওপর খাবারটি বানাচ্ছেন তিনি। তাপের জন্য ব্যবহার করছেন কড়া রোদ। শুনতে মজার বলে মনে হলেও বাস্তবিকই রোদের তাপে আস্ত একটি দোসা বানিয়ে ফেলেন তিনি। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়াও ফেলেছে।
এ ঘটনা নিয়ে গতকাল সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণের তামিলনাড়ুসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভীষণ গরম পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে যাচ্ছে। বইছে দাবদাহ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা হর্ষ গোয়েনকা ভিন্ন ধরনের কিছু করতে চেয়েছিলেন। সেই ভাবনা থেকেই তিনি রোদের তাপে দোসা বানানোর কথা ভাবেন।
যেই ভাবা, সেই কাজ। পেশায় উদ্যোক্তা গোয়েনকা তাঁর স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বাইরে তখন প্রখর রোদ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদে রীতিমতো গরম হয়ে উঠেছে স্কুটারের আসন। হঠাৎ সড়কের পাশে স্কুটার থামিয়ে আসনের ওপর গোলানো আটা ঢেলে দোসা বানাতে শুরু করেন তিনি। ৪০ ডিগ্রি তাপে ফুলতেও শুরু করে সেটি। উল্টেপাল্টে গরম দোসাটি যখন খাওয়ার উপযুক্ত হয়, তখন তা দেখে কেউ বলবে না, আগুন ছাড়া শুধু রোদের তাপেই এটি বানানো হয়েছে।
রোদের তাপে দোসা বানানোর পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও করেন গোয়েনকা। পরে তা আপলোড করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁর ভিডিওটি ৩০ হাজারের বেশিবার দেখা হয়েছে। অনেকেই প্রশংসা করেছেন গোয়েনকার এমন ব্যতিক্রমী চিন্তা ও কাজের। একজন মন্তব্য করেছেন, এটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্য একজন মজা করে লিখেছেন, দেখুন তিনি (গোয়েনকা) জ্বালানি বাঁচাচ্ছেন। কার্বন নিঃসরণ করছেন না। এভাবেই তিনি মূল্যস্ফীতি রোধে সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছেন।