সাবধান! পুরোনো স্মার্ট যন্ত্র হতে পারে আপনার বিপদের কারণ, জেনেনিন বিস্তারিত

আমাজন ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্মার্ট যন্ত্র হ্যাক করা সম্ভব। এগুলো ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে হামলা চালানোর পাশাপাশি তথ্য চুরি এবং ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারিও করা যায়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্রাহক পণ্য ও সেবা পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘হুইচ?’ আটটি স্মার্ট যন্ত্রে দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থা শনাক্ত করেছে। এসব পণ্যের মেয়াদ শেষ হলে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রোগ্রাম হালনাগাদ করা হয় না। ফলে এগুলো সহজেই হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।

ঘরে ব্যবহৃত স্মার্টযন্ত্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আটটি স্মার্ট যন্ত্র কিনে হ্যাকারদের আক্রমণ করতে বলে হুইচ?। অল্প সময়ের মধ্যেই ৩৭ ত্রুটি শনাক্ত করেন হ্যাকাররা, যার মধ্যে ১২টি ত্রুটিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে।
হুইচের পরীক্ষা করা ৮ স্মার্ট ডিভাইস হচ্ছে আমাজন ইকো স্মার্ট স্পিকার (প্রথম প্রজন্ম), গুগল নেস্ট হ্যালো ভিডিও ডোরবেল, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮ অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ভার্জিন মিডিয়া সুপার হাব ২, লিভ ক্যাম বেবি মনিটর, ফিলিপস টিভি, এইচপি ডেস্কজেট ইঙ্কজেট প্রিন্টার, ওয়েমো স্মার্ট প্ল্যাগ।

হুইচ?-এর পলিসি ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক রোসিও কনচা বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক তদন্তে কিছু বড় ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিপণ্যের বিপদগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এসব পণ্যের নিরাপত্তা দুর্বলতা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া নিপীড়কদের বড় অস্ত্র হতে পারে বলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

পুরোনো স্মার্ট যন্ত্র ব্যবহারের সময় নিরাপদ থাকতে সংগঠনটি কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো—

১. পুরোনো প্রযুক্তি পণ্যের কার্যকারিতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পণ্যের মেয়াদ বা হালনাগাদ সফটওয়্যার রয়েছে কি না, তা জানতে হবে।

২. পণ্যের নিরাপত্তার ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পাসওয়ার্ড হালনাগাদ করার পাশাপাশি প্রয়োজনে দুই স্তরের নিরাপত্তা সুবিধা ব্যবহার করতে হবে।

৩. পণ্য তৈরির মেয়াদ ছয় বছরের বেশি হয়ে গেলে তা বদলে ফেলতে হবে।

সূত্র: হুইচ? ও ডেইলি মেইল

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy