শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব। এর আগে বাজার বিশ্লেষকরাও একই ধরনের ধারণা করেন। চলমান অর্থনৈতিক অবস্থার কোনো সমাধান না দেখে দেশটির সাধারণ মানুষ রাজাপাকসে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে।
জানা গেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ক্যাম্প স্থাপন করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে নাকাল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এখনো চলছে বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে ৪০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থার দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে দেনদরবার করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দল।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর শ্রীলঙ্কার ৮৬০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। তবে আপাতত এ অর্থ পরিশোধ করা হবে না বলে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। এসবের মধ্যে শ্রীলঙ্কার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া কঠিন হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
আইএমএফের সঙ্গে ১৮ এপ্রিল বৈঠক শুরুর আশা করছে শ্রীলঙ্কার নতুন অর্থমন্ত্রী আলী সাবরির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। সেখানে যত দ্রুত সম্ভব ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান আলী সাবরি।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে চলতি বছরই ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি ডলারের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে আলী সাবরি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে ভালো অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে আমাদের জরুরি তহবিল প্রয়োজন। ঋণের অর্থ যত দ্রুত সম্ভব ছাড় দিতে আমরা তাদের (ঋণদাতা) কাছে আবেদন করব।’
সর্বশেষ ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করেছিল আইএমএফ। সে বছর মোট ১৫০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল সংস্থাটি। তবে ১৩০ কোটি ডলার ছাড়ের পর বাকিটা আটকে দেওয়া হয়।